Bistarito somporke jakat er kotha islam e

 সবাইকে জয়গুরু।

সবার জন্য একটি সুন্দর দিনের প্রত্যাশা রইলো পরমপিতার রাতুল চরণে---


আজকের অংশবিশেষ  'আলোচনা প্রসঙ্গে'র ১৯শ খন্ড থেকে নেওয়া।




 *ইষ্ট যাদের মুখ্য তাদের* *ভাতকাপড়ের অভাব হয় না।* 


শ্রীশ্রীঠাকুর-- আমার বোঝা বওয়ার বুদ্ধি যাদের মাথায় থাকে, তারা কখনও কারোর বোঝা হয় না। পরমপিতার দয়ায় তাদের কাজ বহু লোককে যোগান দিয়ে চলে। তাই তাদের অভাব হয় না। কেষ্টদার চলে কি করে ? কেষ্টদার বাড়ীতে তো দীয়তাং ভুজ্যতাং লেগেই আছে। ইষ্ট যাদের কাছে মুখ্য হয়, পেটের কথা যারা ভাবে না, পরিবার-পরিজনসহ তাদের পেটের ভাত, পরনের কাপড় আর প্রয়োজন যা-কিছু আপসে জুটে যায়। মানুষের ভরসাই কম। বিশ্বাসই মানুষের বুকে বল যোগায়। এই বল না থাকলে বেপরোয়া হ'য়ে তাঁর কাজে ঝাঁপ দিতে পারে না।


  


জয়গুরু।

বন্দে পুরুষোত্তমম্।।





বিনয়াবনত :


শ্রীঅশোক কুমার পাল,

ঘোলা, কোলকাতা-১১১।




2. 




👉।।বীজমন্ত্রের সার্ব্বজনীন ব্যবহার কাম্য কিনা।।


🙏কথাপ্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন -- ওঁ বীজমন্ত্র। ওটা ওভাবে (সার্ব্বজনীনভাবে)use (ব্যবহার) না করাই ভাল।


একজন বললেন -- আমাদের (সৎ)নামও তো ওভাবে গাওয়া ঠিক না।


🙏শ্রীশ্রীঠাকুর -- আমার নিষেধ করা ছিল।কিন্ত ঠেকানো যায়নি 


আ,প্র,১৩/  ২১.৭.১৯৪৮


👉।।শুয়ে ধ্যান করা যায় কিনা।।


একজন জিজ্ঞাসা করলেন-- উপুড় হ'য়ে শুয়ে যদি ধ্যান করা যায়, তার ফল কি হয়?


🙏শ্রীশ্রীঠাকুর -- উপুড় হ'য়ে শুয়ে ধ্যান করতে হয় না। ওতে heart ও lungs(হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস) এর উপর চাপ পড়ে,তাতে প্রাণ আইটাই করে। প্রয়োজনমতো চিৎ হ'য়ে শুয়ে করলে তেমন হয় না।


আ,প্র,১৩/  ২৩.৭.১৯৪৮



3.




তিনি ডাক্তারের- ডাক্তার, তাই তিনি সবার মঙ্গলময় বিভু।যেখানে আমার শ্বাসরুদ্ধকর, দম যেখানে আড়ষ্ট, প্রভুর বিধানে সেখানে প্রাণের সঞ্চার। 


 ২২শে আষাঢ়,রবিবার,১৩৫৩(ইং৭/৭/৪৬)


   ★ওষুধ Lungs-এর জন্য ★


শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন---আমার মনে হয়, কলার সিরাপের সঙ্গে এডোক্সিলিন ও থিওকল মিশিয়ে খেলে lunge (শ্বাসযন্ত্র)-এর সাধারণ যে-কোন গোলমাল সেরে যেতে পারে। 


[আলোচনা-প্রসঙ্গে--অষ্টম খণ্ড]

জয়গুরু

4.



*হকসাহেব -- ( ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম্মের ) মূলগত বিষয়ে যে পার্থক্য নেই । তাই বা বলা যায় কী করে.......?


*শ্রীশ্রী ঠাকুর --- ধরুন ,ইসলাম ইসলাম শব্দের মানে আমি শুনেছি খোদায় আত্মনিবেদন বা শান্তি ।সব ধর্ম্মেরই তো মূল কথা এই ।সব ধর্ম্ম বললে কথাটা ভুল বলা হয়, কারণ ,ধর্ম্ম বহূ নয়, ধর্ম্ম একই । আর, কলেমা , নামজ, রোজা , হজ , জাকাত--- এই পাঁচটি অনুষ্ঠান শুনেছি মুসলমানদের অবশ্যকরণীয় ।*

*প্রত্যেক শাস্ত্রেই তো এই বিধান অাছে , তবে হয়তো ভিন্ন ভাষায় , ভিন্ন নামে হতে পারে । কলেমা মানে আমি বুঝি --- খোদাতালায় বিশ্বাস রেখে , প্রেরিত পুরুষকে স্বীকার করে তাঁর অনুশাসনে চলা । এই বিশ্বাস , স্বীকৃতি ও অনুসরণ ধর্ম্মের প্রথম ভিত্তি ।*

*হিন্দুদের যুগপুরুষোত্তম বা*

*সদ্গুরুর কাছে দীক্ষাগ্রহণ করে তাঁকে অনুসরণ করে চলার কথা । খ্রীষ্টানদের মধ্যেও আছে baptism এর ( অভিষেক ) প্রথা । বৌদ্ধরাও আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিশরণমন্ত্র গ্রহন করে থাকে বলে শুনেছি । এই স্বীকৃতি , এই শ্রেষ্ঠ পুরুষকে আপন করে নেওয়ার মধ্য দিয়েই তাঁর অনুবর্ত্তনে চলার পক্ষে সুবিধা হয় । আর, নামাজ মানে সন্ধ্যা , বন্দনা ,প্রার্থনা । মানুষ ইষ্টের স্মরণ মনন যত করে তত তার মন পবিত্র হয়ে ওঠে, প্রবৃত্তিগুলিকে সুনিয়ন্ত্রিত করার কায়দা পায় , আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মসমিক্ষা পটু হয় ।তাছাড়া এতে করে ইষ্টিচলনের সম্বেগ বাড়ে , তাই এই নির্দেশ সর্ব্বত্র আছে । আর, রোজা মানে ইষ্টচিন্তাপরায়ণ হয়ে সুনিয়ন্ত্রিত উপবাস । এতে শরীর মনের অনেক গলদ বেরিয়ে যায় । ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয়ে ওঠে । শুনেছি বিধিমাফিক উপবাস কামদমনের পক্ষে সহায়ক ।এও সবারই করণীয়় --- যে যে পথেই চলুক। হজ মানে তীর্থ যাত্রা । ভাবাসিক্ত হয়ে তীর্থদর্শন করলে আমরা সাধু মহাপুরুষদের ভাবে অনুপ্রানিত ও অভিষিক্ত হয়ে উঠি । এ বিধানও সবার মধ্যে আছে । আর, জাকাত মানে ধর্ম্মার্থে দান, ইষ্টার্থে উৎসর্গ । এই বাস্তব করণের ভিতর দিয়ে ইষ্টের প্রতি আমাদের অনুরাগ বাড়ে। সংসারে চলতে আমাদের হাজার রকম তাল নিয়ে চলতে হবে , কিন্তু সবটার মধ্যে যদি ইষ্টকে স্থাপন করতে পারি, তাহলেই আমরা বহূ অনিষ্ট , বিপদ , আপদ ও অনর্থের হাত হতে রেহাই পেতে পারি । আপনাদের যেমন জাকাত আছে , তেমনি অন্যত্র আছে ইষ্টভৃতি । এই ইষ্টভৃতি যে কত বড় জিনিস , মানুষের কত বড় রক্ষা কবচ , তা করলেইi বোঝা যায়।আবার এর ভিতর দিয়ে দুঃস্থ পরিবেশও প্রভূত উপকৃত হয় ।*

*তাহলেই দেখুন , মূল জিনিস গুলো সর্ব্বত্র সমান কি না ।*


*শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র*

*আঃপ্রঃ ১ম খন্ড*



Comments

Popular posts from this blog